আফগানিস্তানের কাছে ওয়ানডে সিরিজ হারের বড় কারণ বাংলাদেশের ব্যাটিং। দুই ম্যাচেই বিধ্বস্ত হতে হয়েছে টাইগার ব্যাটারদের। আফগানদের স্পিন আক্রমণ সামলাতে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে স্বাগতিকদের। মঙ্গলবার চট্টগ্রামে তৃতীয় ওয়ানডেতে লিটন-সাকিবরা ক্লিক না করলে হোয়াইটওয়াশের হতাশায় পড়তে হতে পারে টিম টাইগার্সকে।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটি শুরু যথারীতি দুপুর ২টায়। সিলেটে তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে এই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো ভীষণ জরুরি বাংলাদেশের জন্য।

রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী, মুজিব উর রহমান মিলে বাংলাদেশের ব্যাটারদের বোতলবন্দি করে রাখছেন। বিশ্বসেরা স্পিন আক্রমণের সামনে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন নাঈম-আফিফ-শান্তদের সকলে। আফগান স্পিনাররা বাংলাদেশকে ভোগালেও এতে তেমন চিন্তিত নন সহকারী কোচ নিক পোথাস। তার মতে, বিশ্বের সব দেশের ব্যাটসম্যানদেরই এমন ভুগতে হয় মুজিব, রশিদ খানদের বিপক্ষে।

‘সত্যি বলতে, আফগানিস্তানের স্পিন আক্রমণ বিশ্বের সেরা। এটা বাস্তবতা। তাদের দলে এমন তিনজন স্পিনার আছে, যারা বিশ্বজুড়ে সাদা বলের ক্রিকেটে অনেক ম্যাচ খেলেছে। যেকোনো অধিনায়কের জন্য এটি স্বপ্ন। যার হাতেই বল তুলে দেয়া হয়, সে কাজটা করে দেয়। তারা অসাধারণ।’

‘আমরা কেনো ওদের বোলিং বুঝতে পারছি না, প্রশ্নটা এটা নয়। প্রশ্ন হচ্ছে, ওদের বোলিং কেনো পুরো বিশ্বই বুঝতে পারছে না। বিশ্বের সব দলেরই ওদের বোলিং বুঝতে কষ্ট হয়। মিডলসেক্সে আমি মুজিবকে পেয়েছি। উইকেটকিপারের জায়গা থেকে ওর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও আমি বুঝতে পারছিলাম না, সে কী করছে। সেজন্যই ওরা বিশ্বসেরা।’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার ওয়ানডে সিরিজ হারের পর হোয়াইটওয়াশের চোখ রাঙানি বাংলাদেশের সামনে। এমন ম্যাচের আগে চট্টগ্রামে অনুশীলনেই নামতে পারলেন না লিটন-সাকিব। বিনা প্রস্তুতিতে মঙ্গলবার সিরিজের শেষ ম্যাচে নামতে হবে স্বাগতিকদের।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সোমবার সকাল ১০টায় অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা ছিল। বৃষ্টি না থামায় দুপুরে অনুশীলন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট।

আফগানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্রেফ উড়ে গিয়েছিল টিম টাইগার্স। ১৪২ রানের বড় হারে স্বস্তিতে নেই দল। নিজের শেষ ওভারে হাঁটুর চোটে পড়া ইবাদত হোসেন ছিটকে গেছেন ওয়ানডের পর টি-টুয়েন্টি সিরিজ থেকেও। শেষ ওয়ানডেতে তাই একাদশে ফিরতে পারেন তাসকিন আহমেদ।

সিরিজের দুই ম্যাচেই আফগানদের বিপক্ষে বেশিরভাগ সময় ধুঁকতে দেখা গেছে বাংলাদেশের ব্যাটারদের। এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের আগে যা একপ্রকার অশনি সংকেত বলা যায়।